থিওরিঃ লুইস হেনরি মরগান ও এক চিলতে বিবর্তনবাদ
[এনথ্রোসার্কেলের থিওরি সিরিজে আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব। এই পর্বে আমাদের জন্য লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আসিফ রহমান।]
প্রাথমিক আলাপ
নৃবিজ্ঞানের তত্ত্ব সংক্রান্ত আলাপে শুরুর দিকে যে কয়জন তাত্ত্বিকের নাম আলোচনায় আসে- লুইস হেনরি মরগান তাদের মধ্যে অন্যতম। ভিক্টোরিয়ান বিবর্তনবাদী তাত্ত্বিকদের সম্পর্কে সাধারন যে সমালোচনা প্রচলিত আছে, সেটি হলো এইসকল তাত্ত্বিকদের বেশিরভাগই কোন মাঠ-গবেষণা ব্যতীত পুস্তকনির্ভর ধারণার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চেয়েছেন। মরগান সম্ভবত ভিক্টোরিয়ান তাত্ত্বিকদের মধ্যে প্রথম কেউ যিনি শুধুমাত্র লাইব্রেরি কেন্দ্রিক গবেষণাতে আটকে থাকতে চাননি।
ব্যক্তিগত ও পেশাগত জায়গা থেকে ইরোকোয়া লীগের অন্তর্গত ‘সেনেকা’ সম্প্রদায়ের সাথে মরগানের ঘনিষ্ঠতা তৈরী হয়, এই প্রেক্ষিতে মরগান ইরোকোয়াদের সম্পর্কে অনেক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করার সুযোগ পান; অন্তত তাঁর নোটবুক এবং জার্নালগুলি সে কথাই বলে। এর বাইরেও মরগান কানসাস এবং নেব্রাস্কায় থাকা নেটিভ আমেরিকানদের সম্পর্কেও অধ্যয়ন করেছিলেন।
সেই দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে ম্যালিনস্কি প্রদত্ত ‘আর্মচেয়ার এন্থ্রোপলজিস্ট’- তকমা থেকে মরগান নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছিলেন বটে, তবুও বোয়াস এবং ক্রোয়েবারের মতো তাত্ত্বিকদের দ্বারা মরগান ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন।
কিন্তু কেন? কারণ সম্ভবত এই যে, মরগান তাঁর সমসাময়িকদের আগেই মাঠকর্মের গুরুত্ব বুঝতে পারলেও এবং তিনি অসংখ্য এথনোগ্রাফিক তথ্যাদি সংগ্রহ করতে সমর্থ হলেও এগুলোর বিশ্লেষণ তিনি করেছেন শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট বিবর্তনবাদী কাঠামোর (Evolutionary Framework) ভেতরে। সেই কাঠামোর স্বরূপ এই আলোচনার পরবর্তী ধাপে তুলে ধরা হবে। এটি যেমন একদিকে সমালোচিত হয়েছে আবার এই বিষয়টি মার্ক্স, এঙ্গেলস এবং লেসলি হোয়াইটের মতো অনেককে প্রভাবিতও করেছে। এঙ্গেলসের ‘Origin of the Family, Private Property and the State’ বইটি মরগানের ‘Ancient Society’ বইয়ের আলোচনা থেকে প্রভাবিত।
সামাজিক বিজ্ঞানে মরগানের অবদান ছিল শক্তিশালী। চার্লস ডারউইন মনে করতেন,সমসাময়িক আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে মরগান ছিলেন সব থেকে বেশি প্রভাবশালী। তাছাড়া, বিবর্তনবাদী ধারার সমালোচক ও চিন্তকদের মধ্যেও অনেকে মরগানের অবদানকে গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করেন।
জ্ঞাতিসম্পর্ক ও বিবর্তন
জ্ঞাতিসম্পর্ক ছিল মরগানের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি জ্ঞাতিসম্পর্কের বিভিন্ন ধরণের রূপ সম্পর্কে জানার লক্ষ্যে প্রায় ১৩৯ টি ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের জ্ঞাতিসম্পর্ক ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করেন। এই প্রক্রিয়ায় তাঁকে স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউট ও মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সহায়তা করে। উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া, ইউরোপসহ বিভিন্ন অঞ্চলের জ্ঞাতিসম্পর্কীয় তথ্যাদি তিনি সংরক্ষণ করে রাখেন। মরগানের উদ্দেশ্য ছিল জ্ঞাতিসম্পর্কের মাধ্যেমে মানবসমাজের অগ্রগতির ধারণাকে ব্যাখ্যা করা।
মরগানের মতে, যে কোন জ্ঞাতিসম্পর্ককেই দুটি বৃহৎ জ্ঞাতিসম্পর্কীয় কাঠামোর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়। অর্থাৎ সকল জ্ঞাতিসম্পর্কের ধরণই বৃহৎ দুটি কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। এই দুটি কাঠামো হলো- বর্ণনাসূচক পদ্ধতি (Descriptive System) এবং শ্রেণিসূচক পদ্ধতি (Classificatory System)।
এই কাঠামোগুলোকে একটু ব্যাখ্যা করা যাক।
বর্ণনাসূচক পদ্ধতি মূলত রৈখিক জ্ঞাতি (Lineal Kin) এবং পার্শ্বিক জ্ঞাতির (Collateral Kin) মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করে। অন্যদিকে শ্রেণীসূচক পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রজন্মের ফারাক। এই পদ্ধতি লক্ষ করলে দেখা যায় একই প্রজন্মের রৈখিক এবং পার্শ্বিক জ্ঞাতিদের চিহ্নিত করা হয় একইরকম পদাবলী দ্বারা। এক্ষেত্রে, বাবা এবং বাবার ভাই, মা এবং মায়ের বোনকে একই পদ দ্বারা অভিহিত করা হয়।
মরগান তাঁর জরিপে প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে এই দুইটি বৃহৎ কাঠামোর অধীনে জ্ঞাতিসম্পর্কের আরো ছয়টি ধারা নির্ণয় করেন। এই মধ্যে তিনটি ( সেমেটিক, আরইয়ান এবং উরালিয়ান) বর্ণনাসূচক আর বাকি তিনটি (মালায়ান, তুরানিয়ান এবং গানোয়াইয়ান) শ্রেণিবাচক পদ্ধতির অন্তর্গত। সেমেটিক জ্ঞাতিসম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় আরব,হিব্রু, আর্মেনিয়ান ইত্যাদি গোষ্ঠীর মধ্যে। বর্তমান ও প্রাচীন সকল ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে এবং পারস্য ও সংস্কৃত ভাষাগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে আরইয়ান জ্ঞাতিসম্পর্ক দেখা যায়। উরালিয়ান জ্ঞাতিসম্পর্কের রূপ দেখা যায় তুর্কি, ফিন এবং এস্তোনিয়ান মানুষদের মধ্যে। অন্যদিকে সকল আমেরিকানদের তিনি গানোইয়ান ধারার অন্তর্ভুক্ত করেন। চাইনিজ, জাপানিজ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের মরগান তুরানিয়ান গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করতেন। হাওয়াই, মাওরি এবং অন্যান্য সমুদ্র নির্ভর জনগোষ্ঠীকে মালায়ানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রশ্ন হলো, মরগান কেন জ্ঞাতিসম্পর্ক আলোচনায় এতো কাঠামোগত বিভাজন করেছেন?
বস্তুত মরগান মনে করতেন, বর্ণনাসূচক ও শ্রেণিবাচক জ্ঞাতিব্যবস্থার মধ্যে যে পার্থক্য লক্ষ করা যায় সেটি আসলে তথাকথিত সভ্য এবং অসভ্য সমাজব্যবস্থার অবস্থা নিরূপণ করে। এই বিষয়ে মরগানের যুক্তি ছিল সূক্ষ্ম, যদিও বর্তমান সময়ে অনেকেই তা ভুল বলে মনে করেন।
প্রথমত, মরগান এই যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, যেসকল সমাজে সাধারণত বর্ণনাসূচক জ্ঞাতিসম্পর্ক দেখা যায়, সেগুলোতে বিবাহ সম্পর্ক মোটামুটি একগামিতার উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে শ্রেণিবাচক পদ্ধতির দেখা পাওয়া যায় সেসকল সমাজে যেখানে সাধারণ অর্থে বহুগামিতা বিদ্যমান হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ তিনি ‘হাওয়াইয়ান’ সমাজের জ্ঞাতিসম্পর্ককে তুলে এনেছেন। এই সমাজে বাবা, বাবার ভাই, মায়ের ভাই- একই জ্ঞাতিপদ দ্বারা চিহ্নিত হন, একই সাথে এখানে নির্দিষ্ট সীমার ভেতরে বহুগামিতাও স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়।
এই আলোচনাগুলো এখানে আসছে মরগানের বিবর্তনবাদী কাঠামোকে ব্যাখ্যা করার সুবিধার্থে। মরগান যে বিবর্তনের রূপরেখা দাঁড় করান, সেটির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ জুড়ে রয়েছে বিবাহ এবং জ্ঞাতিসম্পর্ক। মরগানের বিবর্তনবাদী রূপরেখা অনুযায়ী সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে বিবাহের ধরণ পরিবর্তিত হয় এবং সমাজে প্রচলিত বিবাহের ধরণ দেখে সেই সমাজ কোন দশায় রয়েছে সেটি নির্ধারণ করা সম্ভব। তিনি দেখান, প্রথমে আদিম সমাজগুলোতে সগোত্র ভাই-বোন (Consanguine) বিবাহ প্রচলিত ছিল , এরপর আসে দলগত বিবাহের (Punaluan) ভিত্তিতে গড়ে উঠা পরিবার, এভাবে ক্রমে ক্রমে জোড়বাঁধা পরিবার (Syndysmian) হয়ে শেষে একক বিবাহভিত্তিক পরিবারের আগমন ঘটে। একক বিবাহভিত্তিক পরিবারই সভ্যতার চিহ্ন বহন করে।
অর্থাৎ মরগানের রূপরেখা অনুযায়ী, যে সকল সমাজ বিবর্তনের অন্য সকল ধাপ পেরিয়ে সভ্য স্তরে আগমন করেছে, তারাই একগামী বিবাহের মাধ্যমে পরিবার গঠন করে। আবার যে সকল সমাজে একগামী বিবাহের প্রচলন রয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই সে সকল সমাজে মোটাদাগে বর্ণনাসূচক জ্ঞাতিব্যবস্থা লক্ষ করা যায়। অর্থাৎ, মরগানের বিবর্তনের ছকে এইরকম সমাজ অবশ্যই শ্রেনিবাচক জ্ঞাতিসম্পর্কভিত্তিক সমাজের তুলনায় এগিয়ে থাকবে।
এখানে স্বাভাবিকভাবেই আরেকটি প্রশ্নের উত্থান হয়, মরগান তাহলে কিসের ভিত্তিতে এটি দাবি করেন যে সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সমাজ বহুগামিতা থেকে একগামিতার দিকে অগ্রসর হয় এবং পরিবার কাঠামো একগামিতার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে?
মর্গান দেখান, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিকাশ আর আবিষ্কারের সাথে সাথে সমাজগুলোতে সম্পত্তির পরিমাণও বাড়তে থাকে। এর ফলে সম্পত্তির তদারকি আর উত্তরাধিকারসূত্রের জন্য আরো উন্নত ধরণের সংগঠন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এভাবে প্রযুক্তিগত বিকাশ আর সামাজিক বিকাশের সাথে মিলে সম্পত্তির ধারণাও পরিবর্তিত হয়। উদ্ভব হয় একগামী পরিবারের। কারণ, একগামী পরিবারে একটি সুনির্দিষ্ট ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সম্পত্তির উত্তরাধিকারসূত্র নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
মরগানের বিবর্তনবাদের নকশা
মরগান যে সকল তথ্য ও উপাত্তসমূহ সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন, সেগুলোর উপর ভিত্তি করে তিনি মানবসমাজের বিবর্তনের একটি ধারা তৈরি করেন। মরগানের মতে বিবর্তনকে তিনটি ধাপে ভাগ করা সম্ভব। এই তিনটি ধাপ হলো যথাক্রমে অসভ্য যুগ (Savagery), বর্বর যুগ (Barbarism), সভ্য যুগ (Civilization) ।
প্রতিটি ধাপেরই নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে এবং সেসকল বৈশিষ্টের উপর নির্ভর করে পরিমাপ করা যায় বিবর্তনের ছকে সমাজের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে।
এই অগ্রগতি নির্ধারণ করার জন্য আবার মরগান চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন-
১. উদ্ভাবন ও আবিষ্কার
২. সরকার ব্যবস্থার ধারণা
৩. পরিবারের উৎপত্তি ও বিকাশ
৪. সম্পত্তি ও মালিকানার ধারণা।
এসবের উপর ভিত্তি করে মরগান আবার প্রত্যেকটি যুগকে তিনটি ভাগে বিভাজিত করেছেন।
যেমন, নিম্ন অসভ্য যুগে মানুষ শুধু ফল-মূল ভক্ষণ করতো এবং অল্প বিস্তর শিকার করতে পারতো। এই যুগের অবসান ঘটে যখন মানুষ আগুন জ্বালানো শেখে, এটিকে মরগান অভিহিত করেন মধ্য অসভ্য যুগ হিসেবে। তীর- ধনুকের আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ উচ্চ অসভ্য যুগে প্রবেশ করে এবং মৃৎশিল্পের সূচনার মাধ্যমে এর অবসান ঘটে।
মৃৎশিল্পের উদ্ভাবন অসভ্য যুগ ও বর্বরযুগের মধ্যে পার্থক্য টেনে দেয়। এটির মাধ্যমে বর্বর যুগের নিম্নস্তরের সূচনা ঘটে এবং এই স্তরের অবসান ঘটে প্রাণীদের পোষ মানানোর মাধ্যমে। গৃহপালিত পশুর দ্বারা কৃষিকাজ করানো মধ্য বর্বর যুগের প্রধান বৈশিষ্ট। উচ্চ বর্বর যুগে মানুষ লোহা ও বিভিন্ন আকরিক গলানো রপ্ত করে এবং সেগুলো থেকে হাতিয়ার উৎপাদন করা শেখে।
বর্ণমালার আবিষ্কার বর্বর যুগ থেকে সভ্য যুগে পদার্পনের সন্ধিক্ষণ। লেখার ব্যবহার রপ্ত করার মাধ্যমে মানুষ এই যুগে পদার্পণ করে এবং এর কোন ধরণের উপবিভাজন মরগান করেননি।
মরগান তাঁর নিজস্ব রূপরেখায় যেভাবে বিবর্তনকে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন, সেটি বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। মুলত বিবর্তনবাদের প্রধান যে সমালোচনা- এর পদ্ধতিগত দুর্বলতা, সেটি মরগানের বেলায়ও ঘটেছে। মরগানের বিবর্তনের রূপরেখা এক রৈখিক – বর্তমান সময়ে যা খুব একটা গ্রহনযোগ্য নয়। আধুনিক তাত্ত্বিকদের মতে, মরগানের বেশ কিছু যুক্তি নড়বড়ে। হাওয়াই সমাজের যে উদাহরনটি উপরে তুলে ধরা হয়েছে সেটিরও অসংখ্য সমালোচনা হয়েছে। অনেকে আবার এই প্রশ্নও তুলেছেন যে,যদিও বা বিষয়টি হাওয়াই সমাজের জন্য প্রযোজ্য হয়- এর মানে তো এটি নয় যে এটি বিশ্বের সকল সমাজের জন্যই প্রযোজ্য।
তবে এটি অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই যে, জ্ঞানকান্ডে মরগানের অবদান অনস্বীকার্য। তার কাজের আলোচনা এবং সমালোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। তত্ত্বীয় দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে অন্তত নৃবিজ্ঞানে মরগানের গুরুত্ব ব্যাপক।
শব্দকোষ
রৈখিক জ্ঞাতি- যেসকল জ্ঞাতি একই রেখাসূত্রে বাঁধা। যেমন- দাদা, বাবা, ছেলে।
পার্শ্বিক জ্ঞাতি- রক্তসম্পর্ক বিদ্যমান এমন জ্ঞাতি কিন্তু অন্য কোন যোগসূত্রকারী জ্ঞাতি দ্বারা সম্পর্কিত। যেমন- বাবার ভাই। এখানে বাবা হলো প্রধান যোগসূত্রকারী যিনি দুই জ্ঞাতির মধ্যে সেতুবন্ধন।
প্রজন্মের ফারাক- দুটি প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্যকে বুঝায়। দাদা, দাদার ভাই- উভয়েই একই প্রজন্মের সদস্য। আবার, বাবা,বাবার ভাই- এরাও একই প্রজন্মের সদস্য। সেই হিসেব অনুযায়ী দাদা এবং বাবার মধ্যে এক প্রজন্মের ফারাক বিদ্যমান।
তথ্যসূত্র –
Moore, Jerry D. (2009) Visions Of Culture, Altamira Press.
Morgan, Lewis Henry (1985) [1871] Ancient Society. Foreword by Elizabeth Tooker, Tucson: University of Arizona Press. আহমেদ, রেহনুমা ও মানস চৌধুরী (২০০৩) নৃবিজ্ঞানের প্রথম পাঠ: সমাজ ও সংস্কৃতি, ঢাকা: একুশে পাবলিকেশন্স লিমিটেড।