সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ

[নসরুল্লাহ ম্যামব্রোলের এই লেখাটি অনুবাদ করেছেন সারোয়ার রাফি।]

বিংশ শতাব্দীর শেষ দুই দশকে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বিশ্বায়নের প্রতিফলন হিসেবে সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ, পোস্টকলোনিয়াল থিওরি এবং ক্রিটিসিজম একটা গতি পেয়েছিলো। পোস্টকলোনিয়াল ক্রিটিসিজমকে যদি পোস্টমর্ডানিজমের শাখা হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়, তবে সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ মার্ক্সিজম, পোস্টস্ট্রাকচারালিজম হতেও শক্তি অর্জন করেছে এবং পোস্টকলোনিয়াল ক্রিটিসিজমের অংশ হয়ে ওঠেছে।

“সাবঅল্টার্ন”, শব্দের অর্থ হলো “নিম্নবর্গ শ্রেণি”, আন্তোনিও গ্রামসি কর্তৃক গৃহীত একটি শব্দ যেটির মাধ্যমে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের শ্রমিক শ্রেণির সেইসমস্ত মানুষদের বুঝিয়েছেন যারা কিনা শাসক শ্রেণির আধিপত্যের অংশ ছিলো। সাবঅল্টার্ন শ্রেণিগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে কৃষকেরা, শ্রমিকেরা এবং হেজিমোনিক ক্ষমতার মধ্যে প্রবেশ না করা বঞ্চিত অন্যান্য দলও থাকতে পারে। গ্রামসি সাবঅল্টার্ন ‘শ্রেণিগুলোর’ ইতিহাস রচনার প্রতি আগ্রহী ছিলেন।

নোট্‌স অন ইতালিয়ান হিস্ট্রি গ্রন্থে, গ্রামসি সাবঅল্টার্ন শ্রেণির ইতিহাস নিয়ে অধ্যয়নের জন্যে ছয়-দফা পরিকল্পনার রূপরেখা উল্লেখ করেছিলেন, যেগুলোর মধ্যে ছিলঃ ১) তাদের বৈষয়িক গঠন; ২) প্রভাবশালী রাজনৈতিক গঠনের সাথে তাদের সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় সম্মিলন; ৩) নতুন দল এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠীর জন্ম; ৪) সাবঅল্টার্ন গোষ্ঠীগুলো তাদের দাবি আদায়ের জন্যে যে চাপ প্রয়োগ করে তার কাঠামো; ৫) পুরাতন ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে নতুন কাঠামো তৈরি করা যাতে সাবঅল্টার্ন শ্রেণির স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হয়; এবং অন্যান্য পয়েন্ট ট্রেড ইউনিয়ন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্দেশ করে।

গ্রামসি দাবী করেছিলেন যে, সাবঅল্টার্ন শ্রেণিগুলোর ইতিহাস আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীগুলোর ইতিহাসের মতোনই জটিল, যদিও দ্বিতীয়টির ইতিহাসই পরবর্তীতে “আনুষ্ঠানিক” ইতিহাস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিলো। তার মতে, সাবঅল্টার্ন সামাজিক গোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস আবশ্যিকভাবে বিভাজিত ও খন্ডিত, কারণ তারা সর্বদাই শাসক গোষ্ঠীর কার্যকলাপের অধীনে থাকে, এমনকি যখন তারা বিদ্রোহ করে তখনও।

একদল ইতিহাসবিদদের হাত ধরে এই শব্দটি সাবঅল্টার্ন স্টাডিজের শ্রেণিগুলোতে পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিজের জন্য প্রবেশ করতে সফল হয়েছে। যাদের প্রধান লক্ষ্য ছিলো সাউথ এশিয়ান স্টাডিজে সাবঅল্টার্ন বিষয় নিয়ে কাঠামোগত আলোচনা করা। এটি দক্ষিণ এশীয় সমাজের অধীনতার সাধারণ বৈশিষ্ট্যের নাম হিসাবে সাবঅল্টার্ন স্টাডিজে ব্যবহৃত হয়, অন্যদিকে এটিকে শ্রেণী, লিঙ্গ, জাতি প্রভৃতির পরিপ্রেক্ষিতেও প্রকাশ করা হয়। এই দল রণজিৎ গুহের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো এবং যেখানে আরো ছিল শহীদ আমিন, ডেভিড আর্নল্ড, পার্থ চ্যাটার্জি, ডেভিড হার্ডিম্যান, দীপেশ চক্রবর্তী এবং জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে। এই দল সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ নিয়ে ৫ খণ্ডের প্রবন্ধ  লিখেছে- যেখানে নিম্নবর্গের ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজবিজ্ঞান নিয়ে প্রবন্ধ ছাড়াও তাদের আচরণ, মতাদর্শ এবং বিশ্বাস ব্যবস্থা নিয়েও প্রবন্ধ আছে। অন্য কথায় বলতে গেলে, ব্রাহ্মণ্যবাদী ইতিহাসতত্ত্বকে টেক্কা দিয়ে; জনগণকে নিজের ইতিহাস বলতে দেয়ার সুযোগ হিসেবেই নিজেদেরকে সংজ্ঞায়িত করেছিল সবঅল্টার্ন স্টাডিজ। নিজেদের কথা, নিজেদের আওয়াজ প্রকাশের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই অত্যাচারিতের ওংকার তুলে ধরা।

  এই দলের নির্বাচিত সাবঅল্টার্ন স্টাডিজের (১৯৮৮) মূল প্রবন্ধগুলো এডওয়ার্ড সাঈদের লিখিত ভূমিকাসহ রণজিৎ গুহ এবং গায়ত্রী স্পিভাকের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছিলো।

“সাবঅল্টার্ন” এই ধারণাটির গুরুত্ব গায়ত্রী স্পিভাকের “Can the Subaltern Speak?” (১৯৮৫) এর মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। যেটা ছিলো সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ দলগুলোর কাজের উপর একটি ভাষ্য, যেটিতে তাদের পৃষ্ঠপোষকতামূলক মনোভাবকে প্রকাশ ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো। সাঈদের ওরিয়েন্টালিজম ও অনুরূপ অন্যান্য পাঠে পাওয়া ঔপনিবেশিক নিপীড়নের মনোলিথিক অনুমানের বাঁধাধরা প্রবণতার বিপরীতে, স্পিভাক এই বিষয় গঠিত হওয়ার বিভিন্ন রূপ ও “অপরকে” পরিচিতি করানোর জন্যে দেরিদিয়ান বিনির্মাণ কৌশল গ্রহণ করে। স্পিভাকের বেশিরভাগ ধারণা রণজিৎ গুহ এবং দীপেশ চক্রবর্তী সহ ‘সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ গ্রুপ’- এর সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। স্পিভাক ঔপনিবেশিক নিপীড়নের অকল্পনীয় মাত্রা এবং এর সাথে পিতৃতন্ত্রের ঐতিহাসিক সংযোগের আভাস দিয়ে পরামর্শ দেন যে, সাবঅল্টার্নের কণ্ঠস্বর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়- যা তিনি বিশেষভাবে ভারতের বিধবা নিধনের ঔপনিবেশিক বির্তকের উদাহরণ টেনে চিত্রিত করেছেন। যেমন লতা মণির মতোন পন্ডিতদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সতীদাহ চর্চার ঔপনিবেশিক আলোচনায়, ভারতীয় বিধবারা একটা সাবজেক্ট হিসাবে অনুপস্থিত ছিলো এবং এই সাবজেক্ট কথা বলার জায়গা থেকেও বঞ্চিত ছিলো। তিনি বলেন যে, অভিজাত আদিবাসীরা “কথা বলার” একটা পথ খুঁজে পেলেও, তাদের জন্যে, শ্রেণীবিন্যাসের আরো নিচের দিকে যারা আছে তাদের পক্ষে নিজেদেরকে এককভাবে সবার মাঝে উপস্থাপন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে।

নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে বুদ্ধিজীবী এবং পোস্ট কলোনিয়াল ইতিহাসবিদদের এমন ধারণার বিপক্ষে স্পিভাক আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, এমন বুদ্ধিজীবীরা গ্রামসিয়ান- “দিমাগের নিরাশা, সঙ্কল্পের প্রত্যাশা” প্রবচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে- সাবঅল্টার্ন এজেন্সিকে পুনরুদ্ধারের বিষয়ে দার্শনিক সংশয়বাদকে একত্রিত করেন প্রান্তিকদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাধ্যমে। তিনি কার্যকরভাবে উত্তর-ঔপনিবেশিক সমালোচকদের সাবঅল্টার্ন বিষয়কে সমজাতীয় এবং রোমান্টিক করে তোলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

যাইহোক, স্পিভাকের জিন রাইস ওয়াইড সারগাসো সি’র পাঠের সমালোচনা করেন বেনিতা প্যারি। সাবঅল্টার্নের “নীরবতার” উপর উক্তিকে “স্থানিক কণ্ঠের ইচ্ছাকৃত বধির হয়ে থাকা যাতে তাদের কথা সহজেই শুনতে পারা যায়” বলে আক্রমণ করেছেন। প্যারি বলেছেন এমন ধরণের বধিরতা স্পিভাকের সাবঅল্টার্নের নীরবতার তত্ত্ব হতে এসেছে যেটার মাধ্যমে হেজিমোনিক ডিসকোর্সের পরম ক্ষমতাকে নির্দেশ করে। প্যারি, হোমি ভাবার সাথে জোর দিয়ে বলেছেন যে, উপনিবেশবাদীদের পাঠে দ্বিধাবিভক্তি থাকলেও সেখানে স্থানিক কণ্ঠস্বরের উপস্থাপন আছে। কলোনিয়াল পাঠের শব্দের বৈচিত্র্যতার মাধ্যমে ভাবা বুঝিয়েছেন যে, এখানেও সাবঅল্টার্নরা কথা বলছে। আধুনিক ভারতের ইতিহাসবিদ জ্ঞান প্রকাশ দেখিয়েছেন যে, সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ প্রকল্পটি মার্ক্সবাদ, উত্তর-কাঠামোবাদ, উত্তরাধুনিকতাবাদ, গ্রামসি এবং ফুকো, ভারত ও পশ্চিমের আধুনিকতা, আর্কাইভাল গবেষণা এবং পাঠ্য সমালোচনার সংমিশ্রণে পোস্টকলোনিয়াল সমালোচনা হিসাবে শক্তি অর্জন করেছে।

সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ তাদের পাঠের বিশ্লেষণের জন্যে পোস্টমর্ডানিস্টের থেকে ধারণা এবং পদ্ধতি ধার করেছে। পুঁজিবাদের প্রসঙ্গ ব্যতীত পোস্টমর্ডানিজমকে বুঝতে পারা যাবে না। তাছাড়া, পোস্টকলোনিয়াল সমালোচনাও পুঁজিবাদ এবং নব্য-পু্ঁজিবাদের নিরিখে ব্যাখা করতে হবে। সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ দলের সদস্যেরা অনুভব করেন যে, যদিও মার্ক্সিস্ট ইতিহাসবিদেরা দারুণ এবং অগ্রগামী পাঠ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তাদের দাবি করা জনগণের ইতিহাসের উপস্থাপন এখনো বির্তকিত রয়ে গেছে। তাদের প্রধান থিসিস হচ্ছে ভারতীয় ইতিহাসের  উপনিবেশবাদী, জাতীয়তাবাদী এবং মার্ক্সিস্ট ব্যাখাগুলো তাদের সাধারণ মানুষের এজেন্সিকে লুট করেছে। তাই সম্মিলিতভাবে সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ সাউথ এশিয়ান গবেষণার বহু অভিজাতদের একাডেমিক কাজের পক্ষপাতীমূলক বৈশিষ্ট্যকে পুনঃসংশোধন করবার জন্যে অধীনস্থদের এজেন্সিকে পুনরুদ্ধার করবার জন্যে একটি নতুন পদ্ধতির ঘোষণা করেছে।

সাবঅল্টার্নের এজেন্সিকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল এই তত্ত্বের মাধ্যমে যেখানে ভারতীয় অভিজাতরা শুধু আধিপত্যবাদী নয় বরং একটি প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছিলো। এইভাবে, এই তত্ত্বের যুক্তির মাধ্যমে, সাবঅল্টার্নকে স্বায়ত্তশাসিত ঐতিহাসিক চরিত্র বানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো, যারা তখন আপাতদৃষ্টিতে তাদের নিজের কাজই করে যাচ্ছিলো, যেহেতু, তাদেরকে অভিজাতদের মাধ্যমে পরিচালিত হতে দেখা যায়নি।

একই সময়ে, সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ পশ্চিমা ইতিহাসবিদের “তলানি থেকে ইতিহাস” লেখার চেষ্টা থেকে আলাদা ছিলো। ব্রিটিশ শ্রমিকেরা তাদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পাওয়ার জন্যে তাদের ডায়েরি ব্রিটিশ ইতিহাসবিদদের জন্যে রেখে গিয়েছিলো, কিন্তু ভারতীয় শ্রমিক এবং কৃষকেরা তাদের কোনো “মৌলিক, আসল” কণ্ঠস্বরের কোনো কাজ রেখে যায়নি। তাই ভারতীয় সাবঅল্টার্ন কণ্ঠস্বরগুলো খুঁজে পেতে সাবঅল্টার্ন স্টাডিজে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়েছিলো, সংগ্রহে থাকা নথিগুলোকে পড়তে হয়েছিলো, অর্থাৎ তাদেরকে উক্ত নথিগুলোর বয়ানকে “স্বভাবগত কাঠামোর উল্টোদিক” থেকে নতুনভাবে পাঠ করতে হয়েছিল। ফলে তাদের লক্ষ্য পূরণের প্রক্রিয়ায়, সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ সাবঅল্টার্নদের কণ্ঠস্বর খোঁজার পরিবর্তে কীভাবে এই সাবঅল্টার্নিটি (subalternity) গঠিত হয়েছিলো সেখানেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে।

অভিজাত/কলোনিয়াল ডিসকোর্সের মধ্যে অন্যান্য সাবঅল্টার্নিস্ট লেখাগুলো হলো ডেভিড আর্নল্ডের ইন্ডিয়ান বডি, ডিজেজ এন্ড মেডিসেন; জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডের ক্রিটিক অব দ্যা “কনস্ট্রাকশন অব কমিউনালিজম ইন কলোনিয়াল নর্থ ইন্ডিয়া” বার্নাড কোনের এসে অন ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড কলোনিয়াল কমান্ড। পার্থ চ্যাটার্জি, সুদীপ্ত কবিরাজ এবং দীপেশ চক্রবর্তীর মতো সাবঅল্টার্ন তাত্ত্বিকরা মনে করেন যে “ভারতীয় জাতি আবিষ্কারের বস্তু নয় বরং এটি একটি উদ্ভাবন”। যেখানে জাতির আখ্যানে জাতীয় বুননের অসঙ্গতি, আদর্শিক দ্বন্দ্ব, ফাটল এবং সেই ফাটল লুকিয়ে রাখার বর্তমান সময়ে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতির চিত্র ফুটে ওঠে। জাতির আখ্যানের এই একসূত্রে গাঁথা আধুনিকতায় বিজয়ের মহান আখ্যানের সাথে মিলে যায়।

স্পিভাক দেখান যে, এমন ধরণের চর্চায় নিপীড়িতরা আরো বেশি নীরব হয়ে পড়ে, এর ফলে সে কখনোই কথা বলতে চায় না, কিন্তু সে কারো জন্যে কথা বলে। সাবঅল্টার্ন চেতনা অভিজাত ডিসকোর্সের একটি নির্মাণ এবং এই ডিসকোর্সের কারণেই তাদের প্রান্তিকতা এখনো টিকে আছে।  স্পিভাকের মন্তব্যের পর্যবেক্ষণে রবার্ট জে.সি. ইয়ুঙ মন্তব্য করেছেন যে, সাবঅল্টার্ন নারীর পরিচয় একমাত্র পুরুষতান্ত্রিক এবং সামন্ততান্ত্রিক ডিসকোর্সের মধ্যেই রয়েছে। স্পিভাক, পরবর্তী একটি রচনায়, ফ্রেঞ্চ ফেমিনিজম ইন অ্যান ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেমে (১৯৮৭) তৃতীয় বিশ্বের নারীদের সম্মুখীন হওয়া সমস্যাগুলির তদন্তে ফ্রেঞ্চ নারীবাদীদের বিড়ম্বনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মূল লেখার লিংক