মার্গারেট মিডের নৃবিজ্ঞান
[এনথ্রোসার্কেলের থিওরি সিরিজে নৃবিজ্ঞানী মার্গারেট মিডকে নিয়ে লিখেছেন সাদিয়া শান্তা]
নৃবিজ্ঞানের যাত্রা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন চিন্তাধারার বিকাশ ঘটেছে। এক একটি স্কুল সংস্কৃতি এবং সংস্কৃতি ও মানুষের আন্তঃসম্পর্ককে একেকভাবে ব্যাখ্যা করেছে। বিশ শতকের শুরুতে Culture and Personality স্কুলের বিকাশ ঘটে। Culture and Personality স্কুলের দুজন অন্যতম পুরোধা নৃবিজ্ঞানী রুথ বেনেডিক্ট ও মার্গারেট মিড। ফ্রাঞ্জ বোয়াসের পর এই দুজন নারী একাধিক “ঐতিহ্যগত” সমাজে গিয়ে মাঠকর্মের মাধ্যমে একাধিক এথনোগ্রাফি রচনা করেন। তবে কাজের পরিধির বিশালতায় মার্গারেট মিড অন্য সব নৃবিজ্ঞানীকে ছাপিয়ে গেছেন। তিনি বোয়াসের আপেক্ষিকতাবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে নৈতিন আপেক্ষিক (moral relativism) দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমেরিকার একাধিক আদিম সমাজে শৈশব, সন্তান প্রতিপালনের ধরন, ও যৌন আচরণের সাথে সেই সমাজের রীতিনীতি ও মূল্যবোধের সম্পর্ক অধ্যয়ন করেন। তাই মার্গারেট মিডকে সাংস্কৃতিক নির্ধারনবাদী (cultural determinist) ও বলা যায়। নৃবিজ্ঞানে মিডের বিখ্যাত কাজ হলো আমেরিকার সামোয়া দ্বীপের কিশোরীদের যৌন আচরণের উপর গবেষিত এথনোগ্রাফি Coming of age in Samoa (1928)।
মার্গারেট মিড (১৯০১-১৯৭৮) আমেরিকার একটি উচ্চ শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন পেনিসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক আর মা ছিলেন সক্রিয় সমাজকর্মী। মিডের দাদী ছিলেন শিশু মনোবিজ্ঞানী। মিডের পেশাজীবনে তার মা এবং দাদীর কর্মক্ষেত্রের প্রভাব রয়েছে। তবে মিড তার শিক্ষাজীবনের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে নৃবিজ্ঞানে যাত্রা শুরু করেন। মার্গারেট মিড ১৯২৩ সালে আমেরিকার বার্নার্ড কলেজে ইংরেজী ও মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা করার সময় ফ্রাঞ্জ বোয়াস ও রুথ বেনেডিক্টের সাহচর্যে আসেন। বোয়াসের মনোমুগ্ধকর বক্তৃতা আর বেনেডিক্টের অনুপ্রেরণায় ধীরে ধীরে তিনি নৃবিজ্ঞানে আগ্রহ খুঁজে পান। এরপর মিড কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন এবং National Research Council Fellowship এর অনুদানে সামোয়া দ্বীপে মাঠকর্ম করে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯২৯ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
মিডের কর্মজীবনের সাথে তার ব্যক্তিজীবন ও বৈবাহিক জীবনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হয়ে উঠে। বার্নার্ড কলেজে পড়াকালীন মিড প্রথম বিয়ে করেন প্রত্নতাত্ত্বিক লুথার ক্রেসম্যান কে, যার সাথে বাল্যকাল থেকেই মিডের বিয়ে পূর্বনির্ধারিত ছিল। সেই বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটে ১৯২৮ সালে, যখন মিড সামোয়া দ্বীপে মাঠকর্মের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সামোয়া থেকে ফেরার সময় জাহাজে তার পরিচয় হয় নৃবিজ্ঞানী রিও ফরচুন এর সাথে, যিনি আবার বেনেডিক্টের সাথে ডোবু (Dobu) সমাজে মাঠকর্ম করেন। জাহাজের সেই পরিচয় থেকে প্রেম হয় মিড আর ফরচুনের, এবং প্রেম থেকে বিয়ে। ১৯৩১ সালে এই নৃবিজ্ঞানী দম্পতি একসাথে পাড়ি জমায় পাপুয়া নিউ গিনিতে, মাঠকর্মের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেই মাঠকর্মেই সূচনা ঘতে তাদের বিচ্ছেদের, তার সাথে বেড়ে উঠে এক নতুন প্রেমের কাহিনী।
মিড মূলত চেয়েছিলেন নিউ গিনির তিনটা ভিন্ন ভিন্ন ‘ঐতিহ্যগত’ সমাজে লিঙ্গভেদে মানুষের যৌন মেজাজের পার্থক্য সহজাত নাকি সংস্কৃতি নির্ধারিত (culturally determined) তা গবেষণা করতে। পরবর্তীতে মিড তার এই গবেষণার ফলাফলসহ ‘Sex and Temperament in Three Primitive Societies’ (1935) রচনা করেন। নিউ গিনির এই গবেষণার কাজে প্রথমে তারা আরাপেশ সমাজে যান। তখনো ওই সমাজের কোন নাম ছিল না; ফলে মিড-ই প্রথম তাদের নাম দিলেন “আরাপেশ” যার ইংরেজী প্রতিশব্দ “person” । মিড আরাপেশ সমাজের নারী ও পুরুষের মেজাজের ধরন গবেষণা করে দেখলেন যে তারা উভয়ই মেজাজের দিক থেকে শান্ত, ভদ্র, সহানুভূতিশীল ও সহযোগী মনোভাবধারী। এরপর তারা মুন্দুগুমোর সমাজে গবেষণা করে দেখলেন ওই সমাজের নারী-পুরুষ উভয়ই উগ্র, রুক্ষ মেজাজী, আক্রমণাত্মক ও ক্ষমতাগ্রাসী। তারপর চাম্বুলি সমাজে গবেষণা করে দেখলেন যে তাদের নারী ও পুরুষের মেজাজের ধরণ স্বতন্ত্র – চাম্বুলি সমাজে নারীরা প্রভাবশালী, কর্তৃত্ববাদী ও প্রধান পরিচালনাকারী; অন্যদিকে পুরুষেরা আবেগপ্রবণ এবং অপেক্ষাকৃত কম দায়িত্বশীল। এই গবেষণা থেকে মার্গারেট মিড তার সাংস্কৃতিক নির্দিষ্টতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আরো জোরালো করেন। তবে মিডের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ Blackberry Winter থেকে জানা যায়, এই গবেষণার কাজে মিডের স্বামী রিও ফরচুন তাকে আশানুরূপ সহযোগিতা করেন নি। এটা বলা হয়ে থাকে যে ফরচুন তার স্ত্রীর খ্যাতি ঈর্ষা করতো।
পরবর্তীতে মিড এবং ফরচুন নিউ গিনির সেপিক অঞ্চলে মাঠকর্ম করতে আসলে তাদের পরিচয় হয় আরেকজন নৃবিজ্ঞানীর সাথে – গ্রেগরি বেটসন। সেখানে বেটসন, মিড এবং ফরচুন একে অপরের গবেষণায় সহযোগিতা করতে লাগলো। কিন্তু ধীরে ধীরে মিডের সাথে ফরচুনের দূরত্ব বাড়তে থাকলে ফরচুনের বদলে গ্রেগরী বেটসন মিডের অধিক ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে উঠলো। একটা সময় ফরচুন মিডকে রেখেই আমেরিকায় ফিরে যায় এবং পরবর্তীতে ১৯৩৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। একই বছরে মার্গারেট মিড, রিও ফরচুন ও গ্রেগরী বেটসনের নিউ গিনির গবেষণার ফলাফলসহ ‘Sex and Temperament in Three Primitive Societies’ (1935) প্রকাশিত হয়। ঠিক তার পরের বছর মিড গ্রেগরী বেটসনকে বিয়ে করেন এবং তারা ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে মাঠকর্মে যান। ১৯৩৯ সালে মিড এবং বেটসনের একটি মেয়ে সন্তান হয় – মেরি ক্যাথেরিন বেটসন, যেও কিনা পরে নৃবিজ্ঞানের পথেই যাত্রা করেন। মজার বিষয় হলো, ফরচুন-মিড-বেটসনের মাঠকর্ম, বিচ্ছেদ, এবং প্রেমকে কেন্দ্র করে লিলি কিং একটি উপন্যাসও রচনা করেছেন যার নাম – Euphoria (2014)।
Coming of Age in Samoa
নৃবিজ্ঞান মহলে মার্গারেট মিডের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে তার প্রথম মাঠকর্মের উপর ভিত্তি করে রচিত বিখ্যাত এথনোগ্রাফি Coming of Age in Samoa এর প্রকাশনার মাধ্যমে। মিড পলিনেশিয়ার সামোয়া সমাজে মাঠকর্ম করতে যান ১৯২৫ সালে। সেখানে তিনি আট মাস মাঠকর্ম করে তার বিখ্যাত এথনোগ্রাফি ‘Coming of Age in Samoa’ রচনা করেন। সামোয়া সমাজে জ্ঞাতিসম্পর্কের ধরণ দ্বিপার্শ্বিক (bilateral) এবং একক ও বর্ধিত (১৫-২০ জন সদস্যসহ) উভয় প্রকার খানা গঠিত হয়। তারা সবাই জৈবিক সম্পর্কে আবদ্ধ না, অনেকে আবার জ্ঞাতি কিংবা বন্ধুও হয়ে থাকে। খানা গঠনের এই নমনীয়তা সামোয়া সমাজে ব্যক্তিবিশেষের যৌনাচরণেও দেখা যায়।
মিড পর্যবেক্ষণ করেন, সামোয়া সমাজে দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ, অসহিষ্ণুতার উপস্থিতি প্রায় একেবারেই নেই। সেখানে কারো মাঝে দ্বন্দ্ব কিংবা মতের বিরোধ হলে তা নিমিষেই মিটে যেত। পরিবার বর্ধিত এবং জ্ঞাতিসম্পর্ক দ্বিপার্শ্বিক হওয়ায় কোন সদস্যের সাথে অপর কারো দ্বন্দ্ব হলে সে বিপরীত খানায় যুক্ত হয়ে যেত। এভাবে দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলার মাধ্যমে তাদের পুরো সমাজব্যবস্থায় সহিষ্ণুতা বজায় ছিল।
মিড আরো পর্যবেক্ষণ করেন, সামোয়া সমাজে শিশুর প্রতিপালনের ধরনের সাথে সেই সমাজের মানুষের ব্যক্তিত্ব ও চিন্তার গড়ন কিভাবে সম্পর্কিত। সামোয়া সমাজে শিশুকে সাধারণত প্রথম এক সপ্তাহ মা লালন-পালন করেন। শিশুকে তখন নারিকেলের দুধ কিংবা পেপের শরবত খাওয়ানো হয়। এরপর শিশুর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৬/৭ বছর বয়সী কোন মেয়েকে যে কিনা সেই পরিবারেরই সদস্য কিংবা জ্ঞাতিসম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ, সামোয়া সমাজের নমনীয় বৈশিষ্ট্য শিশুর প্রতিপালনের সময়কাল থেকেই চর্চিত হয়।
সামোয়া সমাজে মিডের গবেষণার মূল বিষয় ছিল সেখানকার বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোরীদের যৌন আচরণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা। মিড সামোয়া সমাজের বিভিন্ন গ্রামের ৬৮জন কিশোরী্র উপর তার গবেষণা চালান যাদের প্রত্যেকের বয়স ৮ থেকে বিশ বছরের মধ্যে। একটা রেকর্ড শীট তিনি প্রত্যেকটি কিশোরীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য সংগ্রহ করে রাখেন। যেমন- তাদের শারীরিক পরিমাপের তথ্য, যৌনতা বিষয়ক তথ্য, মা-বাবা কিংবা জ্ঞাতিদের সাথে তাদের সম্পর্ক নিয়ে তথ্য, ধর্ম পালনের ইচ্ছা কিংবা অনীহা বিষয়ক তথ্য এবং আরো অনেক তথ্য যা সেই সমাজ ব্যবস্থা ও ব্যক্তির চিন্তার গড়নের সাথে সম্পর্কিত।
মিডের গবেষণার ফলাফল মতে, সামোয়ার কিশোরীরা যৌন আচরণ আমেরিকার কিশোরীদের যৌন আচরণের মতো নিয়মের কড়াকড়িতে আবদ্ধ নয়; সামোয়ার কিশোরীদের যৌনতা কিছুটা নমনীয়, কিছুটা উন্মুক্ত। আমেরিকার কিশোরীদের মতো যৌনতা নিয়ে তাদের ভাবনায় পীড়া সৃষ্টি করে না; বরং তারা কিছুটা বাধাহীন যৌনতা চর্চা করে। মিডের গবেষিত বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোরীদের মধ্যে ১৭ জন ছিল বিপরীত লিঙ্গে আকৃষ্ট (Heterosexual) আর ২২ জনই ছিল সমলিঙ্গে আকৃষ্ট।(Homosexual)। তারা বিবাহপূর্বক যৌনতায় চর্চা করতো। কখনো তা নিজেদের বাড়িতে, কখনো বা সাগর তীরে। বিবাহপূর্বক গর্ভধারণ ঘটলেও সামোয়াতে তেমন হইচই হতোনা। তাদের সমাজে “অবৈধ সন্তান” এর ধারণাটাই যে নেই। আর ধর্ষণের ঘটনা ছিল একেবারেই বিরল।
মিডের মতে, যৌনতার এই স্বচ্ছতা, উন্মুক্ততা, নমনীয়তা সামোয়া সমাজের ধরন ও তাদের সন্তান প্রতিপালনের ধরনের সাথে সম্পর্কিত। এই নমনীয়তা, যাকে ইংরেজীতে আমরা বলি “ফ্লেক্সিবিলিটি” সামোয়া সমাজে ব্যক্তি চিন্তার গড়ন ও আরো অনেক বৈশিষ্ট্যকে আকার দিয়েছে। এই থেকে মিড যুক্তি দেন, বয়ঃসন্ধিকালীন অস্থিরতা, হাঙ্গামা, অশান্তি এগুলো মানুষের সহজাত স্বভাব নয়, বরং সমাজের প্রকৃতি দ্বারা এগুলো নিয়ন্ত্রিত।
তবে মিডের এই বিখ্যাত গবেষণাও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। ১৯৮৩ সালে ডেরেক ফ্রীম্যান তার প্রকাশিত ‘Magaret Mead and Samoa: The Making and Unmaking of an Anthropological Myth’ বইতে দাবি করেন, মার্গারেট মিড নিজের তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ও মনগড়া সেসব তথ্যই কেবল সংগ্রহ করেছেন যেগুলো তার তত্ত্বকে সমর্থন করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, সামোয়া সমাজকে মিড ঠিকমতো বুঝতে পারেনি কারণ সে তাদের ভাষা জানতো না, তাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কেও আগ্রহ দেখায়নি। আর এই বিষয়গুলো এড়িয়ে একটা সমাজের প্রকৃতির ধাত বোঝা সম্ভব নয়।
মিডের কাজের সমালোচনা থাকলেও নৃবিজ্ঞান মহলে আজও তা সমাদৃত। ফ্রাঞ্জ বোয়াসের প্রিয় শিক্ষার্থীর খেতাবসহ আমেরিকায় বিশেষ মর্যাদার নাগরিক হিসেবেও তিনি স্বীকৃতি পান। মার্গারেট মিড সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের একাধিক শাখায় কাজ করেছেন। তার কাজের পরিধির বিস্তৃতি তাকে আর সবার চেয়ে অন্যতম করেছে। এমনকি অবসরকালে তিনি American Museum of Natural History এর ইমেরিটাস কিউরেটর পদে সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়াও ১৯৬০ সালের দিকে Redbook ম্যাগাজিনের একটি মাসিক কলাম ছিল মিডের দখলে। সেই কলামের নাম ছিল Margaret Mead Answers, যেখানে মিড বিচিত্র সব বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিত। যেমন- স্কুল বাসের উপর প্রশ্ন, জ্য পল সার্ত্রকে নিয়ে প্রশ্ন, প্রার্থনা নিয়ে করা প্রশ্ন, বেইসবল খেলা নিয়ে প্রশ্ন, কিংবা কিছু প্রশ্ন এমন যে –“৫০ বছর আগের গৃহকর্মের তুলনায় এখন কি গৃহকর্ম সহজতর?”, “শেক্সপিয়ার কি সত্যিই শেক্সপিয়ার ছিল?”, “মানুষ কেন চুলের প্রান্ত সোজা রাখতে পছন্দ করে?” ইত্যাদি। মিডের সুবিশাল কাজের ক্ষেত্র আর আগ্রহের কথা বলতে যেয়ে জেইন হওয়ার্ড লিখেছেন, “নৃবিজ্ঞান মিডকে আকর্ষণ করতে পেরেছিল কারণ নৃবিজ্ঞানের কাজের ক্ষেত্র সীমিত নয়; কিন্তু মিডের আগ্রহের পরিসীমা এতোটাই বিস্তৃত যে এমনকি মিডকে ধারণ করতেই নৃবিজ্ঞান হিমশিম খাচ্ছিল”।
দোহাইঃ
১। Jerry D. Moore, Visions of Culture: An Introduction to Anthropological Theories and Theorists (2009).
২। https://www.loc.gov/exhibits/mead/field-sepik.html
৪। https://www.thoughtco.com/margaret-mead-biography-3528414