ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানঃ সংক্ষিপ্ত পরিচয়

[ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানের উপর সংক্ষিপ্ত এই পরিচয়মূলক লেখাটি ThoughtCo তে প্রকাশিত  K.kris.Hirst-এর একটি লেখার অনুবাদ। লেখাটি অনুবাদ করেছেন  আতেকা জোয়ার্দার।]

বিংশ শতাব্দীতে নৃবিজ্ঞানের যেসকল নব নব ক্ষেত্র বা উপশাখা পরিস্ফুটিত হয়েছে, তন্মধ্যে ফরেনসিক এন্থ্রোপোলজি বা ফরেনসিক নৃবিজ্ঞান অন্যতম। আদতে এটিকে জৈবিক নৃবিজ্ঞানের একটি উপশাখা বলেই অভিহিত করা হয়ে থাকে। স্বভাবতই, যেকোনো বৈজ্ঞানিক শাখা বা উপশাখার আবির্ভাব হলে সেটির সংজ্ঞায়ন, পরিধি, সীমা ও পদ্ধতি নিয়ে বিবিধ মতানৈক্য ও মতবিরোধ দেখা দেয়। নৃবৈজ্ঞানিক উপশাখা হিসেবে শুরুর দিকে ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানও একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছে বটে। তবে আজকের দিনে ঐতিহাসিক বিবিধ ঘটনা ও বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামসমূহের অগ্রগতির ফলে একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নের দশকগুলোতে, ফরেনসিক নৃবিজ্ঞান ক্রমশ স্পষ্ট ও শক্তিশালী একটি উপশাখা হিসেবে আভির্ভূত হয়েছে; ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানকে এককভাবে কেন বিজ্ঞানের বাতায়ণ হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে সে সম্পর্কে লুই পাস্তুরের একটি উক্তির মাধ্যমে কিছুটা ধারণা নেয়া যেতে পারেঃ “বৈজ্ঞানিক বাতায়নে আদতে এমন কোন বিজ্ঞান নেই যাকে ব্যবহারিক বিজ্ঞান বলে অভিহিত করা যায়। রয়েছে কেবলমাত্র বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের প্রয়োগ, যা একই বৃক্ষের ফল হিসেবে সম্মিলিত অবস্থায় অস্তিত্বমান।”

ফরেনসিক নৃবিজ্ঞান নিয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা লাভ করা যেতে আমেরিকান বোর্ড অফ ফরেনসিক এন্থ্রোপোলজি সংগঠনের নিম্নোক্ত বিস্তৃত সংজ্ঞাটির মাধ্যমেঃ

“বিবিধ আইনী সমস্যা ও প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জৈবিক নৃবিজ্ঞানের পদ্ধতিগুলোকে প্রয়োগ করার নামই ফরেনসিক এন্থ্রোপোলজি। কঙ্কাল, পঁচে যাওয়া লাশ কিংবা অন্যান্য অজ্ঞাত মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে চিহ্নিত করা আইনি ও মানবিক দুই দিক থেকেই জরুরী হয়ে ওঠে বিবিধ পরিস্থিতিতে। ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা জৈবিক নৃবিজ্ঞানে বিকশিত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মান-প্রমাণের ভিত্তিতে মানব অঙ্গ অবশিষ্টাংশ চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা প্রায়শই ফরেনসিক প্যাথোলজিস্ট, ওডোনোটোলজিস্ট(দন্তবিদ্যা) এবং হত্যা সংক্রান্ত অপরাধ তদন্তকারীদের পাশাপাশি কাজ করে থাকে মৃতব্যক্তির সনাক্তকরণ, প্রমাণ সংগ্রহ এবং ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়াসমূহে। এছাড়াও কোন বেওয়ারিশ লাশ কিংবা সন্দেহজনক হত্যার ক্ষেত্রে উক্ত লাশসমূহের বয়স, লিঙ্গ, দৈহিক বৈশিষ্ট্য, পূর্বসুরীদের ঠিকুজি, কঙ্কালের বিবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রে ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।”

মূল বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

   I.        সংঘটিত অপরাধের স্থান কিংবা প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগের স্থান থেকে মানব অস্থি ও লাশের অবশিষ্টাংশের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন।

II.        তদন্ত চলাকালীন সময়ে অপরাধের স্থান সম্পর্কিত নকশা তৈরীকরণ থেকে শুরু করে কঙ্কালের সাহায্যে ব্যক্তির পরিচয় উন্মোচন, এই সকল ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা

   III.        বিবিধ ডেটা ব্যাংকের সংরক্ষণাগার থেকে প্রয়োজনীয় তুলনামূলক ডেটা বা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

বর্তমানে সময়ে একজন ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীর কেন্দ্রীয় দায়িত্ব হচ্ছে মৃত ব্যক্তির পরিচয়, মৃত্যুর কারন ও পদ্ধতি উন্মোচন করা। পাশাপাশি, মৃত্যুর সময় ও পূর্বে ব্যক্তির জীবনযাপন সম্পর্কে তথ্য আহরণ; অবশিষ্ট কঙ্কালের ভিত্তিতে কী কী সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যেতে পারে সেই প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণের কাজও এই পেশাটি করে থাকে। তবে কঙ্কালের সাথে যদি শরীরের বিভিন্ন অংশের নরম টিস্যুও পাওয়া যায়, তখন উক্ত নৃবিজ্ঞানীর সাথে আবার একজন ফরেনসিক প্যাথোলজিস্ট বিশেষজ্ঞকেও দরকার হয়ে থাকে লাশ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে।

ইতিহাসঃ

সাধারণত ফরেনসিক নৃবিজ্ঞান পেশাটি তুলনামূলকভাবে ফরেনসিক সায়েন্স নামক আরও বিস্তৃত একটি জ্ঞানকাণ্ডের সাথে জোটবদ্ধ হয়েই প্রসারিত হয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবে এর শেকড় উণবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে প্রোথিত হলেও; মূলত বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এসে, অর্থাৎ, ১৯৫০ দশক এর পর থেকেই এটির উত্থান ঘটে এবং ব্যাপকভাবে অনুশীলিত পেশাদারি তৎপরতা হয়ে ওঠে। উইল্টন মেরিয়ন ক্রোগম্যান, টি. ডি. স্টিউয়ার্ড, জে. লরেন্স এঞ্জেল, এবং এ. এম. ব্রুস; এদের মতো নৃতাত্ত্বিক মনোভাবের অনুশীলনকারীরা এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ছিলেন। নৃবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত বিভাগগুলো যেমন – মানব কঙ্কালের অবশিষ্টাংশ অধ্যয়ন – ১৯৭০ এর দশকে মার্কিন মুলুকে অগ্রণী ফরেনসিক নৃতত্ত্ববিদ ক্লাইড স্নোয়ের প্রচেষ্টায় শুরু হয়েছিল। ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানে জড়িত বিজ্ঞানীরা মূলত যেকোন কঙ্কাল বা কঙ্কালের অবশিষ্টাংশ অধ্যয়নের ক্ষেত্রে একটি চতুষ্কোণি পদ্ধতি অবলম্বন থেকে যাত্রা শুরু করেন, এই চারটি বিষয় হচ্ছে, বয়স, লিঙ্গ বা সেক্স, পূর্বসুরী বা নৃগোষ্ঠিগত পরিচয় এবং দৈহিক উচ্চতা। ফরেনসিক নৃবিজ্ঞান আদতে দৈহিক বা জৈবিক নৃবিজ্ঞানের একটি বর্ধিত উপশাখা। কারণ প্রথম দিকে যে বিজ্ঞানীরা কঙ্কালের অবশিষ্টাংশ থেকে বড় চারটি বিষয় নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছিলেন; তারা মূলত অতীত সভ্যতার উত্থান, পুষ্টিগত বণ্টন এবং জনসংখ্যার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। যা মূলত জৈবিক নৃবিজ্ঞান ও জৈবিক প্রত্নতত্ত্বের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়। ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানের সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত, বিশেষত বিপুল বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির কারনে এই নৃবিজ্ঞানীরা এখন জীবিত ও মৃত উভয় ধরণের মানুষ নিয়েই অধ্যয়ন করতে সক্ষম। এছাড়াও এই জ্ঞানকান্ডের বিভিন্ন পণ্ডিত ব্যক্তির সংগৃহীত তথ্য উপাত্ত সম্বলিত ডেটাবেজ, মানব অবশিষ্টাংশের নমুনা সমষ্টি ইত্যাদি বিষয়াবলীও নৃবৈজ্ঞানিক অধ্যয়নকে আরও জোরালো বৈজ্ঞানিক অবস্থান লাভে সাহায্য করে চলেছে নিরন্তর।

মূল আলোচ্যবিষয়ঃ

ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা মানুষের দেহাবশেষ অধ্যয়ন করেন। বিশেষ করে অবশিষ্টাংশ থেকে পৃথক ব্যক্তির পরিচয় সনাক্তকরণের উপায়সমূহ অধ্যয়ন করেন। একক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দ্বারা সৃষ্ট গণহত্যা, সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে। যেমনঃ ১১ই সেপ্টেম্বরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলা; প্লেন, বাস এবং ট্রেন ইত্যাদি গণপরিবহনের দুর্ঘটনা; এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন দাবানল, হারিকেন এবং সুনামি।

বর্তমান সময়ে, ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা মানুষের মৃত্যুর সাথে জড়িত অপরাধ এবং দুর্যোগ সম্পর্কিত অধ্যয়নের নানাবিধ বিষয়ের সাথে জড়িত।

·        সংঘটিত অপরাধের স্থান সম্বলিত নকশা তৈরী – এটি কখনও কখনও ফরেনসিক প্রত্নতত্ত্ব নামে পরিচিত হয়ে থাকে। কারণ অপরাধের স্থান থেকে তথ্য পুনরুদ্ধারে প্রত্নতাত্ত্বিক কৌশল ব্যবহার করা জরুরি হয়ে থাকে।

·       ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান এবং পুনরুদ্ধার- খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যাওয়া মানব দেহাবশেষ চিহ্নিত করার ব্যাপারটিতে বিশেষজ্ঞ কেউ না হলে, চিহ্নিতকরণ অসম্ভব একটি কাজ।

·         প্রজাতি সনাক্তকরণ – অধিকা্ংশ ঘটনা প্রায়ই অন্যান্য জীব ও জীবনব্যবস্থাকেও ব্যহত করে থাকে, যেমন বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে কেবল মানুষই নয়, আশেপাশের অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীও তা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।

·         পোস্টমর্টেম- কতক্ষণ আগে মৃত্যু ঘটেছিল তা নির্ধারণ করা।

·         টেফোনমি – কোন ধরনের আবহাওয়াজনিত প্রভাবকসমূহ মৃত্যুর পর থেকে দৈহিক অবশিষ্টাংশকে প্রভাবিত করেছে

·         ট্রমা বিশ্লেষণ – মৃত্যুর কারণ এবং পদ্ধতি চিহ্নিত করা

·         ক্র্যানিওফেসিয়াল পুনর্গঠন বা, আরো সঠিকভাবে, মুখের আনুমানিক গঠন পর্যবেক্ষণ

·         মৃত ব্যক্তির প্যাথলজি – জীবিত ব্যক্তি কোন ধরণের সমস্যায় বা রোগে ভুগছিলেন কিনা তা নির্ধারণ করা

·         আদালতের মামলায় বিশেষজ্ঞ সাক্ষী হিসেবে কাজ করা

এছাড়াও ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা কখনও কখনও জীবিত মানুষের জীবনযাত্রাও অধ্যয়ন করে থাকে। ভিডিওরেকর্ড থেকে পৃথক অপরাধীদের চিহ্নিত করা, অপরাধ এর সাথে জড়িত অপরাধী ব্যক্তিদের বয়স নির্ধারণ করা, শিশুকিশোরদের পর্নোগ্রাফি থেকে তাদের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে সহায়তা করা।

সরঞ্জামঃ

ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা তাদের কাজের সুবিধার জন্য বিবিধ আধুনিক সরঞ্জাম ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকাণ্ডসমূহকে সম্মিলিত পদ্ধতিতে ব্যবহার করেন। যার মধ্যে রয়েছে ফরেনসিক উদ্ভিদবিজ্ঞান এবং প্রাণীবিজ্ঞান, রাসায়নিক মৌল ও উপাদান বিশ্লেষণ এবং ডিএনএ বা জেনেটিক পদ্ধতি। যেমন কিছু উদাহরণ দিতে গেলে বলা যেতে পারে; মৃত্যুর সময় মৃত ব্যক্তির বয়স কত ছিল তা উন্মোচন করার ক্ষেত্রে, একজন ব্যক্তির দাঁতের গঠন এবং দাঁতের সুরত কীরূপ, দাঁত কি একেবারে ফেঁটে গিয়েছে, কিংবা কতটা জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে তা বিশ্লেষণের বিষয় হতে পারে, এছাড়াও এপিফেজিয়াল ক্লোজার(অস্থি’র পরিপূর্ণতা) এবং অসিফিকেশন(অস্থি গঠিত হবার প্রক্রিয়া) পর্যবেক্ষণ, এই দুইটি পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও রেডিওগ্রাফির মাধ্যমে অস্থির পরিমাপ নির্ধারণ করা এবং হিস্টোলজি দ্বারা অস্থির সংযুক্তস্থল সমূহকে নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। উপরোক্ত এই বিবিধ পদ্ধতিসহ আরও নানাবিধি পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে, তা ডেটাবেজসমূহে আগে থেকেই সংরক্ষিত বিভিন্ন বয়সী, আকৃতি ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ডেটার সাথে তুলনা করে কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে থাকেন ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা। এরকম দুইটি বৃহৎ ডেটাবেজের নাম হিসেবে বলা যেতে পারে স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউট এবং ক্লিভল্যান্ড মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি। যা উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে বিবিধ সংস্কৃতির সম্মতি না নিয়েই নিজেদের ডেটাবেজে উক্ত সংস্কৃতি সম্পর্ক, সেখানকার মানুষদের সম্পর্কে বহুবিধ তথ্য জমা করেছিল। যাহোক, ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে, পশ্চিমা সমাজে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের ফলে ডেটাবেজে সংরক্ষিত মানব অবশিষ্টাংশগুলির অনেকগুলোকে পুনরায় দাফন করা হয়। তবে এই পুরানো তথ্য ভান্ডারগুলি বর্তমানে নতুন নতুন আরও “পলিটিকালি কারেক্ট” তথ্যভান্ডার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। যা মূলত ঐচ্ছিক অঙ্গ প্রদানের ব্যবস্থা ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে বলে মনে করা হয়ে থাকে। যেমন উইলিয়াম এম. বাস স্কেলেটাল কালেকশন, এবং ফরেনসিক এন্থ্রোপোলজি ডেটাব্যাংক। এই দুটি ডেটাবেজই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নক্সবিল অঞ্চলে ইউনিভার্সিটি অফ টেনেসিতে অবস্থিত।

ঐতিহাসিকভাবে ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ করেই এই সংক্ষিপ্ত পরিচয় পর্বের ইতি টানা যাক। ষোড়শ শতাব্দীর স্প্যানিশ অভিযাত্রিক বিজয়ী ফ্রান্সিস্কো পিজারো, অষ্টাদশ শতাব্দীর অস্ট্রিয়ান সুরকার উলফগাং আমাদিউস মোৎসার্ট, পঞ্চদশ শতাব্দীর ইংলিশ রাজা রিচার্ড থ্রি এবং বিংশ শতাব্দীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সকল ব্যক্তিত্বদের ক্ষেত্রেই ফরেনসিক নৃবিজ্ঞান সনাক্তকরণ সহ আরও নানাবিধ উপায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ১৯৭৯ সনে আমেরিকার শিকাগোতে ফ্লাইট ১৯১ ডিসি ১০ ক্রাশ এর দুর্ঘটনার পর ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

তথ্যসূত্রঃ

Blau, Soren, and Christopher A. Briggs. “The Role of Forensic Anthropology in Disaster Victim Identification (DVI).” Forensic Science International 205.1 (2011)

Cattaneo, Cristina. “Forensic Anthropology: Developments of a Classical Discipline in the New Millennium.” Forensic Science International 165.2 (2007)

Dirkmaat, Dennis C., et al. “New Perspectives in Forensic Anthropology.” American Journal of Physical Anthropology 137.47 (2008)

Klepinger, Linda L. Fundamentals of Forensic Anthropology. John Wiley & Sons, Inc. (2006)

Yaşar Işcan, Mehmet. “Rise of Forensic Anthropology.” American Journal of Physical Anthropology 31.9 (1988)

মূল লেখা

One thought on “ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানঃ সংক্ষিপ্ত পরিচয়

Comments are closed.